আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি :
কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনস্থ বাইশফাঁড়ী ও তুমব্রু বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারী মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ২০টি পরিবারের মোট ৭১ জন নাগরিককে পেশাদারিত্ব, ধৈর্য ও কৌশলগত তৎপরতার মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ঘুমধুম ইউনিয়নের তংচংগ্যা ও হেডম্যান পাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে আগত কিছু উপজাতি পরিবার গত এক থেকে দুই বছর ধরে স্থানীয় উপজাতি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিল। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত, অনিরাপত্তা ও মানবিক সংকটের কারণে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অনুপ্রবেশ রোধে মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর নির্দেশনা এবং “বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক” — এই ভিশন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ৩৪ বিজিবি শুরু থেকেই বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ও ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে কৌশলগত ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাইশফাঁড়ী ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা থেকে ২০টি পরিবারের ৭১ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিরাপদভাবে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিজিবি জানিয়েছে, বর্তমানে দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় আর কোনো মিয়ানমার নাগরিক অবৈধভাবে অবস্থান করছে না।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. এম. খায়রুল আলম, পিএসসি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সীমান্তের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সব সময়ই সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।
বিজিবির এই উদ্যোগকে স্থানীয় প্রশাসন ও সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে। ভবিষ্যতেও বিজিবির এ ধরনের পেশাদার ও মানবিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছে।
